Description
বইটির প্রধান বিষয়বস্তু:
-
বক্তৃতার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা:
- বইটির প্রথম খণ্ডে বক্তৃতার মৌলিক গুরুত্ব এবং এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বক্তৃতা কেবল ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবনে নয়, বরং সমাজে প্রভাব ফেলার জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজের চিন্তা প্রকাশ করতে পারে এবং অন্যদের প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়।
-
বক্তৃতার মূল কৌশল:
- বইটি বক্তৃতার বিভিন্ন কৌশল তুলে ধরে, যেমন:
- ভাষার যথার্থ ব্যবহার
- যুক্তি এবং উদাহরণের মাধ্যমে বক্তব্যকে শক্তিশালী করা
- শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করার কৌশল
- কথার মধ্যে উত্তেজনা এবং আবেগ সৃষ্টি করা
- কথোপকথনের মাধ্যমে সঠিক বার্তা পৌঁছানো
- বক্তৃতার মধ্যে কিভাবে প্রাসঙ্গিক উপমা, তথ্য এবং বিশ্লেষণ ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
- বইটি বক্তৃতার বিভিন্ন কৌশল তুলে ধরে, যেমন:
-
শ্রোতার মনোযোগ ধরে রাখার কৌশল:
- বইটি বিশেষভাবে শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ এবং ধরে রাখার কৌশল নিয়ে আলোচনা করে। বক্তৃতায় শ্রোতার মনোযোগ ধরে রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাই বইটি এই বিষয়ে বিভিন্ন কৌশল প্রদান করেছে। যেমন: গল্প বলা, হাস্যরসের ব্যবহার, সরাসরি প্রশ্ন করা ইত্যাদি।
-
বক্তৃতার শৈলী ও আত্মবিশ্বাস:
- বক্তৃতায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে হলে কীভাবে প্রস্তুতি নেয়া উচিত, সেই বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আত্মবিশ্বাসী বক্তা হতে হলে প্রথমে প্রস্তুতির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং ব্যক্তিগত শৈলী তৈরি করতে হবে। বইটি সেই প্রক্রিয়াগুলোর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে।
-
ভাষার বৈচিত্র্য এবং সঠিক শব্দ চয়ন:
- বইটি ভাষার বৈচিত্র্য এবং সঠিক শব্দের নির্বাচন নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেছে। বিভিন্ন ধরনের বক্তৃতার মধ্যে ভাষার শৈলী কেমন হতে হবে, কীভাবে কুৎসিত বা অশালীন শব্দ থেকে বিরত থাকতে হবে, সেই সম্পর্কেও গাইডলাইন দেয়া হয়েছে।
-
বক্তৃতা প্রস্তুতির উপায়:
- বইটি বক্তৃতা প্রস্তুতির জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া প্রদান করে, যেমন:
- বিষয় নির্বাচন এবং তার গুরুত্ব বোঝা
- বক্তব্যের মূল উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা
- বক্তৃতা সংক্ষেপে এবং স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা
- প্রস্তুতির সময়ে সাধারণ ভুলগুলো এড়ানো
- বইটি বক্তৃতা প্রস্তুতির জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া প্রদান করে, যেমন:
-
ভাষণ এবং বক্তৃতার পার্থক্য:
- বইটি ভাষণ এবং বক্তৃতার পার্থক্য বোঝানোর জন্য কিছু উদাহরণ দিয়ে আলোচনা করে। ভাষণ সাধারণত একটি বড় ধরনের বক্তৃতা যা একাধিক শ্রোতার সামনে দেয়া হয়, যেখানে বক্তৃতা একটি ছোট পরিসরে ব্যক্তিগত বা দলীয়ভাবে দেয়া হয়।
-
ভয় এবং নার্ভাসনেস কাটানোর উপায়:
- বক্তৃতা দেওয়ার সময় ভয় বা নার্ভাসনেস কাটানো অনেকের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বইটি এই বিষয়ে কিছু কার্যকর কৌশল প্রদান করেছে যেমন: শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণ, মঞ্চের অভ্যস্ততা এবং আত্মবিশ্বাসী ভাবনা।
-
বক্তৃতার বিভিন্ন ধরন:
- বইটি বিভিন্ন ধরনের বক্তৃতার ধরন নিয়ে আলোচনা করে:
- সামাজিক বক্তৃতা
- পেশাগত বক্তৃতা
- রাজনৈতিক বক্তৃতা
- শিক্ষা এবং সেমিনার বক্তৃতা
- প্রতিটি ধরনে কীভাবে বক্তৃতা দেয়া উচিত, এবং কিভাবে শ্রোতাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করা যায়, সে বিষয়ে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে।
- বইটি বিভিন্ন ধরনের বক্তৃতার ধরন নিয়ে আলোচনা করে:
-
এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি:
- বইটি শেষ অংশে আলোচনা করে কীভাবে একজন বক্তা তার বক্তৃতার দক্ষতা বাড়াতে পারে এবং পরবর্তী স্তরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।
বইটির উপকারিতা:
-
বক্তৃতার দক্ষতা উন্নয়ন:
- এই বইটি পাঠকদের বক্তৃতার দক্ষতা উন্নত করতে সহায়ক, যেহেতু এটি বক্তৃতার মৌলিক কৌশল ও প্রস্তুতির ধাপগুলি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে।
-
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি:
- যারা মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলতে ভয় পান, তাদের জন্য বইটি একটি দারুণ সহায়ক। এটি ভয় কাটানোর এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে বক্তৃতা দেয়ার উপায় শেখায়।
-
সামাজিক এবং পেশাগত জীবনে উপকারী:
- বইটি বক্তৃতার কৌশলসমূহ সামাজিক, পেশাগত এবং রাজনৈতিক জীবনে প্রয়োগযোগ্য। এটি একটি বক্তৃতার মাধ্যমে মানুষকে প্রভাবিত করার দক্ষতা প্রদান করে।
-
জনসংযোগে সফলতা:
- বইটি পাঠককে জনসংযোগে সফল হওয়ার উপায় শেখায়, যাতে তারা বক্তৃতা দেয়ার মাধ্যমে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে এবং তাদের বার্তা সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারে।
-
শ্রোতাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন:
- বইটি শ্রোতাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের কৌশল এবং কীভাবে তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা যায়, সে সম্পর্কে আলোচনা করে।
Reviews
There are no reviews yet.