Previous
যোগ্য আলেম যদি হতে চান

যোগ্য আলেম যদি হতে চান

Original price was: 280.00৳ .Current price is: 140.00৳ .
Next

রাসূলুল্লাহর নামাজ

Original price was: 150.00৳ .Current price is: 105.00৳ .
রাসূলুল্লাহর নামাজ

রাসূল (স.) এর যবানে জাহান্নামের বর্ণনা

Original price was: 220.00৳ .Current price is: 110.00৳ .

“রাসূল (সা.) এর যবানে জাহান্নামের বর্ণনা” একটি ইসলামী বই যা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর হাদিসের আলোকে জাহান্নামের বর্ণনা ও এর পরিণতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে। এই বইটি মূলত মুসলিমদেরকে আল্লাহর কঠিন শাস্তি এবং জাহান্নামের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতে লেখা হয়েছে, যাতে তারা পরকালীন শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর আদেশ এবং রাসূল (সা.) এর শিক্ষা অনুসরণ করে। বইটি গঠনমূলকভাবে হাদিসের মাধ্যমে জাহান্নামের বর্ণনা প্রদান করে, যা মুসলিমদের জন্য আত্মসংশোধন ও পরকালীন জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য প্রেরণাদায়ক।

Add to Wishlist
Add to Wishlist

Description

বইটির ব্যাখ্যা বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে:

1. জাহান্নামের ভয়াবহতা:

  • রাসূল (সা.) এর বর্ণনা: বইটি রাসূল (সা.) এর হাদিসের আলোকে জাহান্নামের ভয়াবহতা বর্ণনা করেছে। সেখানে রাসূল (সা.) বলেছেন যে, জাহান্নাম এমন এক স্থান যেখানে অসহনীয় শাস্তি অপেক্ষা করছে। এর আগুন এত তীব্র যে, পৃথিবীর আগুন তার তুলনায় অনেক কম। রাসূল (সা.) এর ভাষায়, “জাহান্নামের আগুন সাতগুণ তীব্র এবং তার শাস্তি অবর্ণনীয়।”
  • আত্মা ও শরীরের ক্ষতি: রাসূল (সা.) এর মতে, জাহান্নামের শাস্তি কেবল শরীরের উপর নয়, বরং আত্মাও সেখানে অত্যন্ত কষ্ট পাবে। এই শাস্তি, আত্মার ও শরীরের এক চিরস্থায়ী কষ্টের কারণে, এমনকি তা সহ্য করা একদম অসম্ভব।

2. জাহান্নামের বিশেষ শাস্তি:

  • অগ্নিপথে নিক্ষেপ: রাসূল (সা.) বর্ণনা করেছেন, জাহান্নামে গিয়ে যারা শাস্তি পাবে, তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। এই আগুন এতটাই তীব্র যে, তাদের চামড়া পুড়ে যাবে, তারপর নতুন চামড়া আসবে এবং ফের আগুনে পোড়ানো হবে। রাসূল (সা.) বলেন, “যারা নফসের অহংকার, গর্ব এবং অন্যায় কাজে লিপ্ত থাকে, তাদের জন্য এই কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে।”
  • গলত থালা ও খাবার: বইটি আরও বর্ণনা করে, কীভাবে জাহান্নামের বাসিন্দাদের জন্য অগ্নি থেকে তৈরি কিছু খাবার ও পানীয় প্রদান করা হবে, যা আরও কষ্টকর। একহাতে তারা নিকৃষ্ট খাবার পাবেন, আর পানির বদলে উত্তপ্ত তরল তাদের শরীরকে আরও পুড়িয়ে ফেলবে।

3. জাহান্নামের বিভিন্ন স্তর:

  • গভীর স্তর: রাসূল (সা.) বলেছেন, “জাহান্নামে সাতটি স্তর রয়েছে, এবং সবচেয়ে নীচে যে স্তর রয়েছে, সেখানে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে।” এই স্তরের শাস্তি আল্লাহর রাগের বহিঃপ্রকাশ হবে, যা চূড়ান্ত পাপীদের জন্য অপেক্ষা করছে।
  • নির্দিষ্ট পাপের জন্য শাস্তি: বইটির মধ্যে উল্লিখিত হয়েছে, আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে বড় পাপী হয়ে থাকবে, তাদের জন্য কঠোর শাস্তি অপেক্ষা করছে, যেমন যারা আল্লাহর সাথে শিরক করেছে, যারা ঈমানদারদের ওপর অত্যাচার করেছে বা যারা অজ্ঞানভাবে আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করেছে।

4. জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায়:

  • তাওবা ও ইস্তিগফার: রাসূল (সা.) এর হাদিসে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তা হলো, তাওবা ও ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ফিরে আসা। যারা তাদের পাপগুলোকে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চায়, তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে মুক্তি আসবে। বইটি পাঠকদেরকে তাদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সংশোধিত হওয়ার আহ্বান জানায়।
  • ধর্মকর্ম ও আল্লাহর সন্তুষ্টি: একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং তাঁর আইন অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করাই একমাত্র উপায়, যা একজন মুসলিমকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্ত করতে পারে।

5. জাহান্নামের ভয়াবহতার উদ্দেশ্য:

  • আত্মসংশোধন: বইটি জানায় যে, জাহান্নামের ভয়াবহতা মানুষের মধ্যে একটি আত্মসমর্পণ ও সংশোধনের প্রেরণা প্রদান করে। মুসলিমদের উদ্দেশ্য হলো, তারা যেন আল্লাহর সঠিক পথে চলে এবং প্রতিটি কাজের জন্য সঠিক জবাবদিহিতা রাখতে পারে।
  • দুনিয়াতে সতর্কতা: বইটি আলোকপাত করে, যে যারা ইসলামের বিধান অনুসরণ না করে দুনিয়াতে অত্যাচার ও অন্যায় কার্যক্রমে লিপ্ত রয়েছে, তাদের জন্য পরকালে ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে। এটি মুসলিমদের মধ্যে সতর্কতা এবং আল্লাহর আদেশ পালন করার তাগিদ দেয়।

6. হাদিসের মাধ্যমে শিক্ষা:

  • রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুসরণ: বইটির মূল শিক্ষা হলো, রাসূল (সা.) এর উদাহরণ অনুসরণ করা এবং তার প্রদত্ত শিক্ষাগুলোর ভিত্তিতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সৎ পথে চলা। রাসূল (সা.) এর বর্ণিত জাহান্নামের ভয়াবহতা মেনে, মুসলিমরা যেন তাদের কর্ম ও আচার-আচরণে সতর্ক থাকে।
  • দুনিয়াতে আল্লাহর সন্তুষ্টি: বইটি বারবার বলেছে যে, দুনিয়ার জীবনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা জরুরি, কারণ একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিই একজন মুসলিমকে পরকালীন শাস্তি থেকে বাঁচাতে পারে।

7. শেষ কথা:

  • শান্তির পথে চলা: বইটি মুসলিমদেরকে আল্লাহর প্রতি সত্যিকার মনোভাব নিয়ে বিশ্বাস রাখতে এবং ঈমানের পথে চলতে উৎসাহিত করে। এমনকি যারা জাহান্নামের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন হবেন, তারা শাস্তি থেকে রেহাই পেতে আল্লাহর পথে চলতে পারবেন।
  • রাসূল (সা.) এর শিক্ষা: শেষাংশে, বইটি রাসূল (সা.) এর এই শিক্ষাকে তুলে ধরে যে, “যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে চলবে, সে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাবে।”

“রাসূল (সা.) এর যবানে জাহান্নামের বর্ণনা” বইটি মুসলিমদের কাছে জাহান্নামের ভয়াবহতা এবং এর থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে গভীর সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এটি তাদেরকে আল্লাহর আইন মেনে চলার এবং পরকালীন জীবনে নিরাপদ হওয়ার তাগিদ দেয়।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “রাসূল (স.) এর যবানে জাহান্নামের বর্ণনা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart

0
image/svg+xml

No products in the cart.

Continue Shopping