Description
📌 বইয়ের মূল বিষয়বস্তু
১. হিজাবের ধর্মীয় ভিত্তি ও গুরুত্ব
✅ কুরআনের নির্দেশনা:
- সূরা আন-নূর (২৪:৩১): “ঈমানদার নারীদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে…”
- সূরা আহযাব (৩৩:৫৯): “হে নবী! তোমার স্ত্রীগণ, কন্যাগণ এবং মুসলিম নারীদের বলো, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের ওপর টেনে নেয়, যাতে তারা চিনে নেওয়া যায় এবং কষ্ট দেওয়া না হয়।”
✅ হিজাব নারীর মর্যাদা ও পবিত্রতা বজায় রাখে এবং তাকে অশ্লীলতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করে।
২. আধুনিক সমাজ ও হিজাববিরোধী মনোভাব
✅ কিছু সমাজ হিজাবকে নারীর স্বাধীনতার প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করে, অথচ এটি প্রকৃতপক্ষে নারীর আত্মসম্মানের প্রতীক।
✅ হিজাব মানেই পশ্চাৎপদতা নয়—বরং এটি নারীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিরাপত্তা দেয় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
✅ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক নারী স্বেচ্ছায় হিজাব গ্রহণ করেছেন, কারণ এটি তাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক।
৩. হিজাবী নারীদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও চ্যালেঞ্জ
✅ হিজাবী মেয়েরা প্রায়ই কটূক্তি, কটাক্ষ ও বাঁকা দৃষ্টির শিকার হন, যা তাদের মানসিকভাবে আহত করতে পারে।
✅ কিন্তু তারা যদি ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস ও ইসলামের নির্দেশনা মেনে চলেন, তবে এটি তাদের জন্য জান্নাতের পথে সহায়ক হবে।
✅ হিজাব পরিধান করেও একজন নারী শিক্ষিত, সফল ও আত্মপ্রত্যয়ী হতে পারেন, যা অনেক বাস্তব উদাহরণ দ্বারা প্রমাণিত।
৪. আত্মপরিচয় ও আত্মসম্মান রক্ষায় হিজাবের ভূমিকা
✅ হিজাব কেবল শরীর ঢাকার জন্য নয়, এটি নারীর নৈতিকতা, চিন্তাধারা ও জীবনধারার প্রতিফলন।
✅ একজন হিজাবী কন্যার জন্য চরিত্রের পবিত্রতা ও উত্তম আচরণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
✅ পর্দা মানেই শুধুমাত্র বাহ্যিক পোশাক নয়, বরং এটি অন্তরের পর্দা ও সংযমকেও বোঝায়।
📌 বইটি থেকে যে শিক্ষা পাওয়া যায়
✅ হিজাব নারীর জন্য বাধ্যবাধকতা নয়, বরং এটি এক সম্মানজনক দায়িত্ব ও আত্মরক্ষার মাধ্যম।
✅ সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরোয়া না করে, একজন নারী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে হিজাব পরিধান করতে পারেন।
✅ হিজাব পরিধান করা মানেই পিছিয়ে থাকা নয়, বরং এটি নারীর আত্মশক্তি ও মর্যাদার প্রতীক।
✅ আন্তরিকতা, ঈমান ও নৈতিকতার সমন্বয়ে একজন নারী প্রকৃত হিজাবী কন্যায় পরিণত হতে পারেন।
Reviews
There are no reviews yet.