Description
ঈমানের সংজ্ঞা
শরিয়তের পরিভাষায়, ঈমান হলো:
“হৃদয়ে বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং কাজে প্রমাণ।”
অর্থাৎ,
- হৃদয়ে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, যা কিছু আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) বলেছেন, তা একদম সত্য।
- মুখে স্বীকার করতে হবে কালিমা পড়ে ও ঈমানের ঘোষণা দিয়ে।
- কর্মে বাস্তবায়ন করতে হবে—আল্লাহর আদেশ মানা ও হারাম থেকে বেঁচে থাকা।
ঈমানের মূল ভিত্তি (ঈমানের ছয় রুকন)
ঈমানের মূল ভিত্তি ছয়টি, যা ঈমান মুজমাল ও ঈমান মুফাসসাল থেকে পাওয়া যায়। রাসূল (সা.)-এর একটি হাদিসে উল্লেখ আছে:
“ঈমান হলো এই যে, তুমি বিশ্বাস করবে—
১. আল্লাহর ওপর,
২. ফেরেশতাদের ওপর,
৩. আল্লাহর কিতাবগুলোর ওপর,
৪. আল্লাহর রাসূলদের ওপর,
৫. কিয়ামতের দিবসের ওপর,
৬. তাকদিরের (ভাগ্য) ওপর—যে ভালো-মন্দ সবই আল্লাহর নির্ধারিত।”
(সহিহ মুসলিম: ৮)
ঈমানের গুরুত্ব
- ঈমান ছাড়া কেউ মুসলিম হতে পারে না।
- ঈমান মজবুত হলে মানুষ দুনিয়ায় ও পরকালে সফল হয়।
- ঈমানই জান্নাতে যাওয়ার একমাত্র শর্ত।
- ঈমান মানুষকে গুনাহ থেকে বাঁচায় ও নেক আমলে উদ্বুদ্ধ করে।
ঈমানের স্তর
১. কামিল ঈমান (পরিপূর্ণ ঈমান): যারা ঈমানের সব শর্ত মেনে চলে এবং কোনো সন্দেহ রাখে না।
২. দুর্বল ঈমান: যারা ঈমান রাখে, কিন্তু গুনাহে লিপ্ত হয় বা সন্দেহে পড়ে।
3. ঈমানহীনতা (কুফর): যারা আল্লাহ ও ইসলামকে অস্বীকার করে।
ঈমান বৃদ্ধির উপায়
- নামাজ, রোজা ও ইবাদত করা
- কুরআন ও হাদিস অধ্যয়ন করা
- সৎ ও দ্বীনদার পরিবেশে থাকা
- আল্লাহর স্মরণ (যিকির) করা
- গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা
উপসংহার
ঈমান ইসলামের মূল ভিত্তি, যা ছাড়া কেউ মুসলিম হতে পারে না। এটি শুধু মুখের কথা নয়, বরং হৃদয়ের বিশ্বাস ও কর্মের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। একজন মুমিনের কর্তব্য হলো তার ঈমানকে শক্তিশালী করা, আল্লাহর আদেশ পালন করা এবং হারাম থেকে বেঁচে থাকা।
Reviews
There are no reviews yet.