Previous
গল্পেরভাঁজে ভাঁজে সিরাত

গল্পেরভাঁজে ভাঁজে সিরাত

Original price was: 120.00৳ .Current price is: 60.00৳ .
Next

নামে মুসলমান কাজে খ্রিস্টান এ কেমন মুসলমান

Original price was: 200.00৳ .Current price is: 100.00৳ .
নামে মুসলমান কাজে খ্রিস্টান এ কেমন মুসলমান

নববী আদর্শের আলোকে সুন্দর আচরণ

Original price was: 190.00৳ .Current price is: 95.00৳ .

নববী আদর্শের আলোকে সুন্দর আচরণ ইসলামে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও চরিত্র মুসলমানদের জন্য আদর্শ। তিনি নিজের জীবনে যেভাবে সুন্দর আচরণ এবং নীতির প্রতিফলন ঘটিয়েছেন, তা মুসলিমদের জন্য অনুসরণীয়।

Add to Wishlist
Add to Wishlist

Description

১. পরিপূর্ণ নম্রতা ও বিনয়:

মহানবী (সা.) নিজে অত্যন্ত নম্র এবং বিনয়ী ছিলেন। তিনি কখনো কারও সাথে অহংকার বা গর্বের আচরণ করতেন না। তার আচরণে ছিল সদয়তাআলাপ-আলোচনার প্রতি শ্রদ্ধা

  • একবার, একজন সাহাবী নবী (সা.)-এর কাছে এসে বলেছিলেন, “হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি কখনো মানুষের মতো কথা বলেন?” নবী (সা.) উত্তরে বললেন, “হ্যাঁ, আমি মানুষ, তোমাদের মতো। তবে আল্লাহ আমাকে এই পৃথিবীতে সদ্ব্যবহার, দয়া এবং সহানুভূতি শেখানোর জন্য পাঠিয়েছেন।”

২. সহানুভূতি ও দয়া:

মহানবী (সা.) ছিলেন একজন অত্যন্ত দয়ালু ও সহানুভূতিশীল ব্যক্তি। তিনি মানুষের দুঃখ-কষ্টে সহানুভূতি দেখাতেন এবং তাদের সাহায্য করতেন। তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা ছিল অসীম, কারণ তিনি কখনো কারও প্রতি অশোভন বা অমানবিক আচরণ করতেন না।

  • অন্যের প্রতি দয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে, নবী (সা.) সব সময় সহানুভূতির সঙ্গে অন্যদের কথা শুনতেন এবং তাদের সাহায্য করতেন।

৩. সত্য ও ন্যায়ের প্রতি অনুগত:

মহানবী (সা.) সর্বদা সত্য বলতেন এবং ন্যায়ের পথ অনুসরণ করতেন। তাঁর মুখে কখনও মিথ্যা কথা ছিল না, এবং তিনি সব সময় মানুষের প্রতি ন্যায়ের কথা বলতেন, তাদের সঠিক পথের নির্দেশনা দিতেন।

  • একবার, মক্কায় তথ্যপ্রমাণের অভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলে, নবী (সা.) অকপটে বলেছিলেন, “আমি যে সত্য বলি, তা বিশ্বাস করুন।” তার এই নির্ভরযোগ্যতা তাকে সমাজে অত্যন্ত সম্মানিত করেছিল।

৪. ক্ষমা ও ত্যাগ:

নবী (সা.) ক্ষমা ও ত্যাগের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ ছিলেন। মক্কা বিজয়ের দিন যখন তার শত্রুরা তার কাছে ক্ষমা চায়, তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যেখানে তিনি ব্যক্তিগত শত্রুতা বা প্রতিশোধের পথ না রেখে মানবতার দিকে হাত বাড়িয়েছিলেন।

  • উহুদ যুদ্ধে যখন তার উপর আক্রমণ করা হয়েছিল এবং তাকে রক্তাক্ত করা হয়েছিল, তখনও তিনি ক্ষোভের বদলে দোয়া করেছেন।

৫. আদর্শ পরিপালন:

মহানবী (সা.) তার ব্যক্তিগত জীবনেও আদর্শ দেখিয়েছেন। তিনি কখনও অর্থ বা সামর্থ্যের দম্ভ দেখাননি। বৈষম্যহীনতা, মানবাধিকার, সমাজের সকল স্তরের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল তার অন্যতম মূলনীতি।

  • তিনি দরিদ্রদের সাথে খেতে বসতেন, সমাজের নিম্নবর্গের মানুষদের সাথে মিশতেন এবং তাদের সম্মান দিতেন। এর মাধ্যমে তিনি মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

৬. পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা:

মহানবী (সা.) নিজের পরিবার এবং স্ত্রীদের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল এবং যত্নশীল ছিলেন। তার স্ত্রীরা তাকে ভালোবাসতেন এবং কখনও তাকে কোনো বিষয়ে বিরক্ত করেননি।

  • তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সহানুভূতিশীল ছিলেন, এবং তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করতেন।

৭. পরোপকারিতা ও দানশীলতা:

মহানবী (সা.) ছিলেন একটি পরোপকারী মানুষ। তিনি সর্বদা দান করতেন এবং অন্যদের সাহায্য করার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতেন।

  • যাকাত এবং সাদাকাহ প্রদান তাকে নিজে অভ্যস্ত করেছিল। তার দানে কখনো তার মালিকানা বা অবস্থান দেখানোর প্রবণতা ছিল না। তিনি দান করতেন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে, আর সেটা তার অনুসারীদেরও উৎসাহিত করত।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “নববী আদর্শের আলোকে সুন্দর আচরণ”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart

0
image/svg+xml

No products in the cart.

Continue Shopping