Previous
Previous Product Image

বরকতময় ভোর ও নামাজে ফজর

Original price was: 280.00৳ .Current price is: 160.00৳ .
Next

বাবা আদর্শ সন্তানের কারিগর

Original price was: 250.00৳ .Current price is: 150.00৳ .
Next Product Image

বাক-সংযম

Original price was: 250.00৳ .Current price is: 150.00৳ .

“বাক-সংযম” বইটি একজন মুসলিম ব্যক্তির জীবনে বাক্যের গুরুত্ব এবং কথা বলার ক্ষেত্রে সংযমের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করে। বইটি মূলত অপ্রয়োজনীয় বা ক্ষতিকর কথা না বলার, কথা বলার সময় সতর্ক থাকার এবং শব্দের শক্তি বুঝে ব্যবহার করার গুরুত্ব তুলে ধরে। এটি পাঠককে সঠিক কথা বলার শিক্ষা দেয়, যার মাধ্যমে ব্যক্তি তার সম্পর্ক, সামাজিক অবস্থা ও আধ্যাত্মিক জীবনকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।

Add to Wishlist
Add to Wishlist

Description

মূল বিষয়বস্তু ও বিশ্লেষণ:

১. বাক্যের শক্তি ও দায়িত্ব

  • কথার শক্তি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে, এটি কাউকে ভালোবাসা বা শত্রুতা, শান্তি বা অশান্তি, দয়া বা ঘৃণা প্রদান করতে সক্ষম।
  • ইসলামে বলা হয়েছে, “মুখ থেকে বের হওয়া প্রতিটি শব্দের হিসাব নেওয়া হবে।”
  • একজন মুসলিমের জন্য সঠিক বাক্য এবং শব্দের ব্যবহার জরুরি, কারণ এটি তার ব্যক্তিত্ব ও বিশ্বাসের প্রতিফলন।

২. বাক-সংযমের ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি

  • কুরআন ও হাদিসে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, বাক্য এবং কথার মাধ্যমে কিভাবে মানবজীবনে শান্তি ও সুষ্ঠু সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব।
  • নবী (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের ওপর বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।” (বুখারি)
  • সত্য কথা বলার পাশাপাশি, বিপদজনক বা মিথ্যা কথা না বলা এবং গীবত, মিথ্যাচার, অপবাদ এড়িয়ে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৩. বাক-সংযমের উপকারিতা

  • আধ্যাত্মিক উন্নতি: বাক্য সংযম রেখে ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারেন।
  • সামাজিক শান্তি: অপ্রয়োজনীয় বা আক্রমণাত্মক কথা বললে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে, তবে বাক্য সংযম সম্পর্কগুলিকে সুস্থ এবং মজবুত রাখে।
  • ব্যক্তিগত সুখ: বাক্য নিয়ন্ত্রণে রাখলে, ব্যক্তি নিজের অস্থিরতা ও হতাশা কমাতে পারে, এবং এতে মানসিক প্রশান্তি লাভ হয়।

৪. বাক-সংযম ও ব্যক্তিত্বের গঠন

  • একজন ব্যক্তি যখন তার কথা বলার ক্ষেত্রে সংযমী হয়, তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও শালীনতা প্রতিফলিত হয়।
  • বইতে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে বাক্য সংযম ব্যক্তির চরিত্র ও মূল্যবোধ গঠন করতে সহায়তা করে।

5. কথা বলার সময় সতর্কতা

  • অপ্রয়োজনীয় কথা: অনেক সময় আমরা শুধু অভ্যাসবশত কথা বলি, কিন্তু সেসব কথা প্রায়ই উপকারী হয় না। বাক্য সংযম শেখার মাধ্যমে এসব অপ্রয়োজনীয় কথা বলা এড়ানো যায়।
  • অবমাননা ও আক্রমণ: কাউকে খারাপভাবে আক্রমণ বা অপমান করার বদলে, সদয় ও ইতিবাচক ভাষা ব্যবহার করা উচিত।
  • মিথ্যা ও গীবত: ইসলামে গীবত (কেউ না থাকার সময় তার খারাপ কথা বলা) নিষিদ্ধ। তাই বাক্য সংযমের মাধ্যমে আমরা মিথ্যা এবং গীবত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি।

6. বাক-সংযমের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ

  • বিয়ের সম্পর্ক, পারিবারিক জীবন, কর্মক্ষেত্র এবং বন্ধুদের সাথে কথোপকথনে বাক্য সংযমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
  • কর্মক্ষেত্রে অসন্তোষ বা বিরক্তি প্রকাশের চেয়ে, ভদ্রভাবে সমস্যা সমাধান ও মতামত দেওয়া অনেক ভালো।

ভাষাশৈলী ও রচনা কৌশল:

বইটি সহজ ও বোধগম্য ভাষায় লেখা, যাতে পাঠক সহজেই বুঝতে পারে যে বাক-সংযম শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও পারিবারিক ব্যাপার। লেখক কুরআন ও হাদিসের আলোকে, পাশাপাশি বাস্তব জীবনের উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেছেন।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “বাক-সংযম”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart

0
image/svg+xml

No products in the cart.

Continue Shopping