Description
বইটির মূল বিষয়বস্তু:
- ব্যবসার ফাযায়িল (গুণাগুণ ও মর্যাদা):
- ইসলামে ব্যবসাকে একটি সম্মানজনক ও সাওয়াবের কাজ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, যদি তা হালাল ও সৎ উপায়ে করা হয়।
- মহানবী (সা.) বলেছেন:
“সৎ ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের সঙ্গে থাকবে।” (তিরমিজি) - সাহাবিদের মধ্যে অনেকেই ব্যবসায়ী ছিলেন, যেমন: আবু বকর (রা.), উসমান (রা.), এবং আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.)।
- ব্যবসার মাধ্যমে মানুষ নিজের প্রয়োজন মেটাতে পারে, পরিবারকে সাপোর্ট দিতে পারে, এবং সমাজের কল্যাণে অবদান রাখতে পারে।
- হালাল ও হারাম ব্যবসা:
- ইসলামে ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই হালাল ও হারামের মধ্যে পার্থক্য করতে হবে।
- হালাল ব্যবসা:
- যেসব পণ্য ও সেবার মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ, যেমন: খাদ্যদ্রব্য, বস্ত্র, শিক্ষা উপকরণ ইত্যাদি।
- সৎ ও স্বচ্ছ উপায়ে লেনদেন এবং প্রতারণা ও মিথ্যার আশ্রয় না নেওয়া।
- হারাম ব্যবসা:
- যেসব পণ্য ও সেবা ইসলামে নিষিদ্ধ, যেমন: মদ, সুদ, জুয়া, অশ্লীলতা, এবং হারাম খাদ্যদ্রব্য।
- প্রতারণা, মিথ্যা বলা, ওজনে কম দেওয়া, এবং অন্যায়ভাবে মুনাফা অর্জন।
- মহানবী (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।” (মুসলিম)
- ইসলামী ব্যবসার নীতি ও আদর্শ:
- সততা ও বিশ্বস্ততা: ব্যবসায় সততা ও বিশ্বস্ততা বজায় রাখা ফরজ।
- সঠিক ওজন ও পরিমাপ: পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে সঠিক ওজন ও পরিমাপ দেওয়া।
- সত্যবাদিতা: পণ্যের গুণগত মান, ত্রুটি, এবং মূল্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া।
- প্রতিশ্রুতি পূরণ: ব্যবসায় লেনদেন ও চুক্তি করলে তা পূরণ করা।
- আল-কুরআনে বলা হয়েছে:
“তোমরা প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করো, নিশ্চয়ই প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।” (সূরা বনি ইসরাইল: ৩৪)
- আল-কুরআনে বলা হয়েছে:
- অতিরিক্ত মুনাফা না করা: এমনভাবে মুনাফা করা যাতে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের জন্য ন্যায়সংগত হয়।
- সুদ ও তার ভয়াবহতা:
- ইসলামে সুদ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ এবং এটি কঠোরভাবে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।
- সুদভিত্তিক লেনদেন সমাজে শোষণ ও বৈষম্য সৃষ্টি করে, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
- আল-কুরআনে বলা হয়েছে:
“আল্লাহ সুদকে ধ্বংস করেন এবং সদকাকে বর্ধিত করেন।” (সূরা আল-বাকারাহ: ২৭৬) - মহানবী (সা.) বলেছেন:
“সুদের এক দিরহাম knowingly গ্রহণ করা ৩৬ বার ব্যভিচার করার চেয়ে গুরুতর পাপ।” (ইবনে মাজাহ)
- জুয়া ও প্রতারণামূলক ব্যবসা নিষিদ্ধ:
- জুয়া বা গ্যাম্বলিং ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম, কারণ এটি অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জনের উপায়।
- যে কোনো ধরনের প্রতারণামূলক লেনদেন, যেমন: পণ্যের দোষ গোপন করা, ভুল তথ্য দেওয়া, এবং ওজনে কম দেওয়া, কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
- আল-কুরআনে বলা হয়েছে:
“ওজন ও পরিমাপে কম দিও না এবং তোমরা পৃথিবীতে দুর্নীতি সৃষ্টি করে বেড়িও না।” (সূরা হূদ: ৮৫)
- চুক্তি ও বাণিজ্যিক লেনদেন:
- ব্যবসায়িক চুক্তি স্পষ্ট এবং লিখিত হওয়া উচিত, যাতে পরবর্তীতে ভুল বোঝাবুঝি না হয়।
- চুক্তি করার সময় উভয় পক্ষের সম্মতি এবং সন্তুষ্টি থাকতে হবে।
- মহানবী (সা.) বলেছেন:
“ক্রেতা ও বিক্রেতা যদি লেনদেনের ব্যাপারে সন্তুষ্ট থাকে, তবে তাঁদের লেনদেন বৈধ।” (বুখারি)
- ব্যবসায় যাকাত ও সদকা:
- ব্যবসায় উপার্জিত সম্পদ থেকে যাকাত প্রদান করা বাধ্যতামূলক, যা দরিদ্র ও অভাবীদের মাঝে বিতরণ করতে হয়।
- ইসলামে ব্যবসায় সাফল্য ও বরকতের জন্য সদকা প্রদানের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
- মহানবী (সা.) বলেছেন:
“সদকা সম্পদ কমায় না, বরং বৃদ্ধি করে।” (মুসলিম)
বইটির উপকারিতা:
- “ব্যবসা বাণিজ্যের ফাযায়িল ও মাসায়িল” বইটি একজন মুসলিম ব্যবসায়ীকে সঠিক উপায়ে হালাল ব্যবসা পরিচালনা করতে সহায়তা করে।
- এটি ব্যবসায়িক নৈতিকতা, সততা, এবং বিশ্বস্ততার গুরুত্ব তুলে ধরে।
- ইসলামের আলোকে ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা সমাধানের উপায় সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করে।
- বইটি পড়ার মাধ্যমে একজন ব্যবসায়ী দুনিয়ার লাভের পাশাপাশি আখিরাতের সফলতাও অর্জন করতে পারেন।
Reviews
There are no reviews yet.