Previous
Previous Product Image

মনোরোগের চিকিৎসা

Original price was: 300.00৳ .Current price is: 150.00৳ .
Next

মহাপাপ

Original price was: 280.00৳ .Current price is: 140.00৳ .
Next Product Image

মহানবীর (সা) অর্থনৈতিক শিক্ষা

Original price was: 200.00৳ .Current price is: 150.00৳ .

“মহানবীর (সা) অর্থনৈতিক শিক্ষা” বইটি ইসলামিক অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের নীতিমালা নিয়ে লেখা, যেখানে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন থেকে অর্থনৈতিক জ্ঞান ও শিক্ষা তুলে ধরা হয়েছে। ইসলামে ব্যবসা-বাণিজ্যকে হালাল উপার্জনের অন্যতম উত্তম পন্থা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং মহানবী (সা.) নিজেও একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন।

Add to Wishlist
Add to Wishlist

Description

বইটির মূল বিষয়বস্তু:

  1. ইসলামে অর্থনীতির গুরুত্ব:
    • ইসলাম অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ন্যায়পরায়ণতার উপর গুরুত্বারোপ করে।
    • ব্যবসা-বাণিজ্যকে হালাল রিজিক উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
    • কুরআনে বলা হয়েছে:
      “আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।” (সূরা বাকারা: ২৭৫)
    • মহানবী (সা.) বলেছেন:
      “সৎ ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী, সিদ্দীক ও শহীদদের সঙ্গী হবেন।” (তিরমিজি)

  1. মহানবী (সা.)-এর ব্যবসায়িক নীতি ও নৈতিকতা:
    • তিনি তার ব্যবসায়িক জীবনে সৎ, বিশ্বস্ত ও ন্যায়পরায়ণ ছিলেন, যার জন্য তিনি “আল-আমিন” (বিশ্বস্ত) উপাধি পেয়েছিলেন।
    • মহানবী (সা.)-এর ব্যবসায়িক নীতিগুলো:
      • সততা ও সত্যবাদিতা: লেনদেনে প্রতারণা ও মিথ্যা কথা বলা নিষিদ্ধ।
      • ন্যায্য ও সঠিক মাপ-ওজন: পণ্য বিক্রিতে সঠিক মাপ ও ওজন নিশ্চিত করা।
      • আল্লাহর উপর ভরসা: ব্যবসার লাভ-ক্ষতি আল্লাহর ইচ্ছায় নির্ধারিত হয়।
      • উচ্চমূল্য নির্ধারণ ও মজুদদারি নিষিদ্ধ: অযথা পণ্যের দাম বাড়ানো ও মজুদ করে সংকট সৃষ্টি করা হারাম।

  1. ব্যবসা-বাণিজ্যে ন্যায়পরায়ণতা ও ন্যায্যতা:
    • মহানবী (সা.) কখনো ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে অন্যায় বা প্রতারণা হতে দেননি।
    • তিনি “বায়-উল-খিয়ার” (লেনদেন বাতিলের অধিকার) চালু করেছিলেন, যাতে উভয় পক্ষ স্বেচ্ছায় চুক্তি করতে পারে।
    • ক্রেতার অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন নিষিদ্ধ।

  1. সুদ ও সুদের ভয়াবহতা:
    • ইসলামে সুদ (রিবা) কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, কারণ এটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক শোষণের কারণ।
    • কুরআনে বলা হয়েছে:
      “যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতের দিন শয়তান দ্বারা আচ্ছন্ন ব্যক্তির মতো উঠবে।” (সূরা বাকারা: ২৭৫)
    • মহানবী (সা.) সুদকে অত্যন্ত ঘৃণিত ও মহাপাপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং সুদ গ্রহণকারী, প্রদানকারী, সাক্ষী ও লেখক – সবার উপর লানত করেছেন।

  1. ব্যবসায়িক অংশীদারি ও বিনিয়োগ:
    • ইসলামে মুদারাবামুশারাকা ভিত্তিক অংশীদারি ব্যবসার নিয়ম চালু রয়েছে, যেখানে মুনাফা ও ক্ষতি উভয় পক্ষ ভাগ করে নেয়।
    • মুদারাবা: একজন পুঁজি লগ্নি করবে এবং অন্যজন শ্রম দেবে, লাভ উভয়ে চুক্তি অনুযায়ী ভাগ করবে।
    • মুশারাকা: উভয় পক্ষ পুঁজি ও শ্রম সমানভাবে বিনিয়োগ করবে এবং লাভ-ক্ষতি ভাগাভাগি করবে।

  1. দান-খয়রাত ও সম্পদের পুনর্বিতরণ:
    • ইসলামে অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য যাকাতসদকা ফরজ করা হয়েছে।
    • যাকাত গরিব-দুঃখীদের সহায়তা করে এবং সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করে।
    • মহানবী (সা.) দানশীলতা ও পরোপকারিতার আদর্শ স্থাপন করেছেন, যা ইসলামী অর্থনীতির মৌলিক নীতি।

  1. ইসলামী বাজারব্যবস্থা ও প্রতিযোগিতা:
    • বাজারে ন্যায়সঙ্গত প্রতিযোগিতা এবং ক্রেতার অধিকার রক্ষায় মহানবী (সা.) কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
    • তিনি “ইহতিকার” (অবৈধ মজুদদারি) নিষিদ্ধ করেছেন, যা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে।
    • সঠিক বাজারমূল্য নির্ধারণ এবং ভেজালমুক্ত পণ্য সরবরাহের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

বইটির উপকারিতা:

  • “মহানবীর (সা) অর্থনৈতিক শিক্ষা” বইটি একজন মুসলিম ব্যবসায়ীকে সৎ, ন্যায়পরায়ণ এবং হালাল উপার্জনের সঠিক পথ প্রদর্শন করে।
  • এটি ইসলামী অর্থনীতির মৌলিক নীতি ও বিধান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয় এবং আধুনিক ব্যবসায়িক চর্চায় ইসলামিক নৈতিকতা প্রয়োগের উপায় নির্দেশ করে।
  • মহানবী (সা.)-এর জীবন থেকে অর্থনৈতিক শিক্ষা নিয়ে একজন ব্যবসায়ী ব্যবসাকে ইবাদতের অংশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “মহানবীর (সা) অর্থনৈতিক শিক্ষা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart

0
image/svg+xml

No products in the cart.

Continue Shopping