Description
বইটির মূল বিষয়বস্তু:
- ইসলামে অর্থনীতির গুরুত্ব:
- ইসলাম অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ন্যায়পরায়ণতার উপর গুরুত্বারোপ করে।
- ব্যবসা-বাণিজ্যকে হালাল রিজিক উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
- কুরআনে বলা হয়েছে:
“আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।” (সূরা বাকারা: ২৭৫) - মহানবী (সা.) বলেছেন:
“সৎ ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী, সিদ্দীক ও শহীদদের সঙ্গী হবেন।” (তিরমিজি)
- মহানবী (সা.)-এর ব্যবসায়িক নীতি ও নৈতিকতা:
- তিনি তার ব্যবসায়িক জীবনে সৎ, বিশ্বস্ত ও ন্যায়পরায়ণ ছিলেন, যার জন্য তিনি “আল-আমিন” (বিশ্বস্ত) উপাধি পেয়েছিলেন।
- মহানবী (সা.)-এর ব্যবসায়িক নীতিগুলো:
- সততা ও সত্যবাদিতা: লেনদেনে প্রতারণা ও মিথ্যা কথা বলা নিষিদ্ধ।
- ন্যায্য ও সঠিক মাপ-ওজন: পণ্য বিক্রিতে সঠিক মাপ ও ওজন নিশ্চিত করা।
- আল্লাহর উপর ভরসা: ব্যবসার লাভ-ক্ষতি আল্লাহর ইচ্ছায় নির্ধারিত হয়।
- উচ্চমূল্য নির্ধারণ ও মজুদদারি নিষিদ্ধ: অযথা পণ্যের দাম বাড়ানো ও মজুদ করে সংকট সৃষ্টি করা হারাম।
- ব্যবসা-বাণিজ্যে ন্যায়পরায়ণতা ও ন্যায্যতা:
- মহানবী (সা.) কখনো ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে অন্যায় বা প্রতারণা হতে দেননি।
- তিনি “বায়-উল-খিয়ার” (লেনদেন বাতিলের অধিকার) চালু করেছিলেন, যাতে উভয় পক্ষ স্বেচ্ছায় চুক্তি করতে পারে।
- ক্রেতার অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন নিষিদ্ধ।
- সুদ ও সুদের ভয়াবহতা:
- ইসলামে সুদ (রিবা) কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, কারণ এটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক শোষণের কারণ।
- কুরআনে বলা হয়েছে:
“যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতের দিন শয়তান দ্বারা আচ্ছন্ন ব্যক্তির মতো উঠবে।” (সূরা বাকারা: ২৭৫) - মহানবী (সা.) সুদকে অত্যন্ত ঘৃণিত ও মহাপাপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং সুদ গ্রহণকারী, প্রদানকারী, সাক্ষী ও লেখক – সবার উপর লানত করেছেন।
- ব্যবসায়িক অংশীদারি ও বিনিয়োগ:
- ইসলামে মুদারাবা ও মুশারাকা ভিত্তিক অংশীদারি ব্যবসার নিয়ম চালু রয়েছে, যেখানে মুনাফা ও ক্ষতি উভয় পক্ষ ভাগ করে নেয়।
- মুদারাবা: একজন পুঁজি লগ্নি করবে এবং অন্যজন শ্রম দেবে, লাভ উভয়ে চুক্তি অনুযায়ী ভাগ করবে।
- মুশারাকা: উভয় পক্ষ পুঁজি ও শ্রম সমানভাবে বিনিয়োগ করবে এবং লাভ-ক্ষতি ভাগাভাগি করবে।
- দান-খয়রাত ও সম্পদের পুনর্বিতরণ:
- ইসলামে অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য যাকাত ও সদকা ফরজ করা হয়েছে।
- যাকাত গরিব-দুঃখীদের সহায়তা করে এবং সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করে।
- মহানবী (সা.) দানশীলতা ও পরোপকারিতার আদর্শ স্থাপন করেছেন, যা ইসলামী অর্থনীতির মৌলিক নীতি।
- ইসলামী বাজারব্যবস্থা ও প্রতিযোগিতা:
- বাজারে ন্যায়সঙ্গত প্রতিযোগিতা এবং ক্রেতার অধিকার রক্ষায় মহানবী (সা.) কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
- তিনি “ইহতিকার” (অবৈধ মজুদদারি) নিষিদ্ধ করেছেন, যা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে।
- সঠিক বাজারমূল্য নির্ধারণ এবং ভেজালমুক্ত পণ্য সরবরাহের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
বইটির উপকারিতা:
- “মহানবীর (সা) অর্থনৈতিক শিক্ষা” বইটি একজন মুসলিম ব্যবসায়ীকে সৎ, ন্যায়পরায়ণ এবং হালাল উপার্জনের সঠিক পথ প্রদর্শন করে।
- এটি ইসলামী অর্থনীতির মৌলিক নীতি ও বিধান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয় এবং আধুনিক ব্যবসায়িক চর্চায় ইসলামিক নৈতিকতা প্রয়োগের উপায় নির্দেশ করে।
- মহানবী (সা.)-এর জীবন থেকে অর্থনৈতিক শিক্ষা নিয়ে একজন ব্যবসায়ী ব্যবসাকে ইবাদতের অংশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
Reviews
There are no reviews yet.