Description
বইয়ের মূল বিষয়বস্তু ও বিশ্লেষণ:
১. কথার গুরুত্ব ও প্রভাব:
- কুরআনে বলা হয়েছে: “মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে, তা রেকর্ড করার জন্য একজন পাহারাদার সদা প্রস্তুত থাকে।” (সূরা ক্বাফ ৫০:১৮)
- কথার মাধ্যমে মানুষ বন্ধুত্ব তৈরি করতে পারে, আবার শত্রুতা ডেকে আনতে পারে।
- হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।” (বুখারি ও মুসলিম)
২. বাকসংযমের প্রয়োজনীয়তা:
- অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় কথা বলা অনেক সময় গুনাহের দিকে ধাবিত করে।
- ইসলামে গীবত (পরনিন্দা), চোগলখোরি (কানাঘুষা করা), মিথ্যা, অপবাদ, অভিশাপ দেওয়া ইত্যাদি কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
- অযথা কথা বলার ফলে সম্পর্ক নষ্ট হয় এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
৩. কোন কোন কথা বলা থেকে বিরত থাকা উচিত:
- গীবত: কাউকে তার অনুপস্থিতিতে দোষারোপ করা, যা সে শুনলে কষ্ট পাবে।
- মিথ্যা: ইসলামে মিথ্যাকে মুনাফিকদের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
- অপবাদ: প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা বড় গুনাহ।
- কটূক্তি ও গালি: মানুষের সম্মানহানি করা বা খারাপ ভাষা ব্যবহার করা ইসলামে নিষিদ্ধ।
৪. কথার মাধ্যমে কল্যাণ ছড়ানোর উপায়:
- সৎ উপদেশ দেওয়া: ন্যায় ও সত্যের পথে মানুষকে আহ্বান করা।
- ভালো ও মিষ্টভাষী হওয়া: সুন্দর ও বিনয়ী ভাষা মানুষকে আকর্ষণ করে।
- প্রশংসা করা, দোয়া করা: ভালো কথা দ্বারা মানুষের মন জয় করা যায়।
ভাষাশৈলী ও রচনা কৌশল:
বইটির ভাষা সহজবোধ্য ও বাস্তব জীবনের উদাহরণসমৃদ্ধ। এতে কুরআন, হাদিস ও ইসলামি মনীষীদের উক্তির মাধ্যমে কথার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.