Previous
Previous Product Image

লোকটা শয়তানের বন্ধু

Original price was: 100.00৳ .Current price is: 90.00৳ .
Next

শরয়ী পর্দার বিধান

Original price was: 150.00৳ .Current price is: 75.00৳ .
Next Product Image

শব্দ করে হাসতে মানা

Original price was: 180.00৳ .Current price is: 90.00৳ .

“শব্দ করে হাসতে মানা” একটি ইসলামী বই যা হাস্যরস ও বিনোদন সম্পর্কিত ইসলামী দৃষ্টিকোণ এবং ইসলামে এর অনুমোদন বা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করে। এই বইটি সাধারণত হাস্যরস এবং আনন্দের ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান, সীমানা, এবং এর নৈতিক পরিণতি সম্পর্কে আলোকপাত করে। এটি পাঠকদেরকে শেখায় কিভাবে হাস্যরসের ক্ষেত্রে ইসলামী শিষ্টাচার মেনে চলতে হয় এবং কীভাবে অস্বাভাবিক বা অত্যধিক হাস্যরস সমাজে এবং ব্যক্তিগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

Add to Wishlist
Add to Wishlist

Description

বইটির ব্যাখ্যা নিম্নলিখিত দিকগুলোতে বিশ্লেষিত হতে পারে:

1. হাসির সীমা এবং ইসলামী দৃষ্টিকোণ:

  • ইসলামে হাসির গুরুত্ব: ইসলামে হাসি এবং আনন্দের যে কোনো ধরণের প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়নি, তবে এর মধ্যে সঠিক সীমা ও শিষ্টাচারের বিষয় রয়েছে। বইটি হাসির শিষ্টাচার ও সীমা সম্পর্কে আলোচনা করে, যা শরীয়ত অনুযায়ী ঠিক এবং গ্রহণযোগ্য।
  • অতিরিক্ত হাসির ক্ষতিকারক প্রভাব: বইটি অতিরিক্ত হাসির বা হাস্যরসের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে। এটি শিখায় যে হাসতে গিয়ে পরিমিতি বজায় রাখা উচিত, কারণ অতিরিক্ত হাসি দুশ্চিন্তা এবং গুরুতর বিষয় থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেয় এবং এটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

2. শব্দ করে হাসা কেন মানা:

  • শব্দ করে হাসা: ইসলামি শরিয়তে শব্দ করে, অর্থাৎ জোরে হাসা নিষেধ করা হয়েছে, কারণ এটি সাধারণত শালীনতা ভঙ্গ করে এবং একটি ন্যূনতম স্তরের শিষ্টাচারের অভাব প্রকাশ করে। শব্দ করে হাসা বিশেষ করে পুরুষ বা মহিলাদের মধ্যে অহংকার, অস্থিরতা এবং অশ্লীলতার সৃষ্টি করতে পারে।
  • শালীনতা রক্ষা: ইসলামে শরীরের সৌন্দর্য এবং চরিত্রের শালীনতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শব্দ করে হাসা এই শালীনতা ভঙ্গ করতে পারে, এবং এটি সমাজে অবাধ, অশ্লীল ও অভব্য আচরণে পরিণত হতে পারে।

3. হাসির মাধ্যমে সৃষ্ট সামাজিক প্রভাব:

  • অপ্রত্যাশিত হাস্যরস: কিছু হাস্যরস বা উল্লাস এমনকি খুব বেশি কষ্টকর পরিস্থিতি থেকে মানুষকে সাময়িকভাবে মুক্তি দিতে পারে, তবে ইসলাম সামাজিক সৌহার্দ্য এবং সম্পর্কের জন্য সঠিক রীতিনীতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি মেনে চলতে উৎসাহিত করে।
  • হাসির মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক: হাস্যরসের মাধ্যমে সম্পর্ক আরও বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারে, তবে তা যদি অতিরিক্ত হয় বা শিষ্টাচারিক সীমা অতিক্রম করে, তবে এটি পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্পর্কের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে। বইটি এ ধরনের অবস্থা থেকে রক্ষার জন্য ইসলামী নীতির প্রতি নজর দিতে পরামর্শ দেয়।

4. হাসির প্রভাব এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ:

  • হাসির ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ: হাসির মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি ধন্যবাদ জানানো বা তাঁর মহিমা প্রকাশ করা ইসলামে অনুমোদিত নয়। ইসলাম হাস্যরস এবং আনন্দের প্রতিটি দিককে মানুষের বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতা বজায় রাখার উপায় হিসেবে দেখে।
  • নজরুল ইসলামী চিন্তা: হাস্যরসের মধ্যে এমন কিছু থাকে যা ব্যক্তির মনকে প্রশান্ত করে, তবে ইসলামে হাস্যরসের মাঝে আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্য থাকতে হবে, যেমন একে কেবল সামাজিক সৌহার্দ্য বা আনন্দের জন্য ব্যবহার করা, না যে বিনোদন বা নিরর্থক হাস্যরসে আবদ্ধ হয়ে পড়া।

5. অন্তর থেকে হাসার গুরুত্ব:

  • আত্মিক হাসি: ইসলামে বলা হয়েছে, হাসি অবশ্যই আন্তরিক এবং হৃদয় থেকে হতে হবে। কোন ধরনের বাহ্যিক চাপ বা অযাচিত কারণে হাস্যরস করা অশোভন এবং অস্বাভাবিক।
  • আধ্যাত্মিক হাসি: অন্তরের আনন্দ এবং আল্লাহর ওপর বিশ্বাস থেকেই হাসির প্রকাশ হওয়া উচিত। একে পরিপূর্ণভাবে ভেতরের শান্তি ও সুখের ফলাফল হিসেবে প্রকাশ করতে হবে।

6. বিশ্রাম এবং বিনোদন:

  • বিনোদনের উপকারিতা: বইটি বিনোদন ও আনন্দের মাঝেও শিষ্টাচার এবং ইসলামী শিক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পরামর্শ দেয়। ইসলামে বিশ্রাম ও আনন্দের গুরুত্ব রয়েছে, তবে এগুলি অবশ্যই একটি প্রক্রিয়া বা সীমানায় সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।
  • এথিক্যাল বিনোদন: বইটি শিখায় কীভাবে বিনোদন ও হাস্যরসকে এমনভাবে গ্রহণ করা উচিত যা মানুষের চরিত্রে নৈতিকতা বজায় রাখে, এবং যা ধর্মীয় শিক্ষার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

7. শরীয়তের নির্দেশনা এবং মহানবী (সা.) এর উদাহরণ:

  • মহানবীর (সা.) হাস্যরস: বইটি মহানবী (সা.) এর জীবন থেকে উদাহরণ দেয়, যিনি হাসির ক্ষেত্রে পরিমিতি এবং শিষ্টাচার বজায় রেখেছিলেন। যদিও তিনি হাসতেন, তবে তার হাসির ধরন কখনও কখনও শান্ত, মার্জিত এবং অর্থপূর্ণ ছিল। তিনি কোন অবস্থাতেই শব্দ করে হাসতেন না এবং হাসির মাধ্যমে মহান আদর্শ ও শিক্ষা প্রচার করতেন।
  • হাসির ধরন: ইসলামি শরিয়তে হাস্যরসের জন্য একটি নির্দিষ্ট সীমা ও আচার আছে, যেখানে আনন্দ বা হাসি কখনও যেন অশালীনভাবে প্রকাশ না পায়, আর তা কোনো ধরনের সামাজিক বা নৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি না করে।

8. পাঠকদের জন্য নৈতিক শিক্ষা:

  • ইসলামী শিক্ষার চর্চা: বইটি পাঠকদের হাস্যরসের ক্ষেত্রে ইসলামী শিষ্টাচার এবং নৈতিকতার প্রতি মনোযোগ দিতে এবং শব্দ করে হাসার থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করে। এটি হাসির মাধ্যমেও সামাজিক ও ধর্মীয় দায়বদ্ধতা রক্ষা করতে শিখায়।
  • মানসিক সুস্থতা: হাস্যরস এবং আনন্দের মধ্যে একটি সুস্থ মানসিকতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম হাস্যরসের মধ্যে পরিমিতি এবং শালীনতার প্রতি গুরুত্ব দেয়, যা ব্যক্তির মানসিক শান্তি এবং সামাজিক সুস্থতা নিশ্চিত করে।

“শব্দ করে হাসতে মানা” বইটি হাস্যরস এবং আনন্দের সঠিক পরিসীমা এবং শিষ্টাচারের উপর ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। এটি পাঠকদেরকে হাস্যরসের প্রতি একটি পরিমিতি বজায় রেখে, আল্লাহর আইন এবং সামাজিক সৌজন্য অনুসরণের জন্য উদ্বুদ্ধ করে।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “শব্দ করে হাসতে মানা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart

0
image/svg+xml

No products in the cart.

Continue Shopping